গত কয়েক মাসে সুস্থতার হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যেই হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তারপরেও যাতে উপসর্গহীন করোনা রোগীদের দ্রুত ছুটি দিয়ে হাসপাতালে অন্যান্য পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায় তার জন্য ফের নতুন অ্যাডভাইজারি জারি করলেও স্বাস্থ্য দফতর।ওই অ্যাডভাইজারিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, রোগী ততদিনই হাসপাতালে থাকবেন, যতদিন তার করোনার উপসর্গ থাকবে। উপসর্গহীন থাকলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।অকারণে হাসপাতালবাস দীর্ঘায়িত করা যাবে না।
এখানেই শেষ নয়। হাসপাতালে শয্যাসংকট এড়াতে সেফ হোমগুলির গুরুত্ব বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঠিক হয়েছে, সব সেফ হোমে ২৪ ঘণ্টাই ডাক্তার-নার্স মোতায়েন থাকবেন। অ্যাডভাইসরিতে বলা হয়েছে, জিডিএমও ও আয়ুশ ডাক্তাররা মূলত এই সেফ হোমগুলির দায়িত্বে থাকবেন। বড় ভূমিকা থাকবে নার্সদেরও। অক্সিজেনের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। হাসপাতালের মতোই নিয়মিত তাঁরা রোগীকে পর্যবেক্ষণ করবেন। পালস অক্সিমিটারে নিয়মিত অক্সিজেন মাপবেন। প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা নেবেন।
শুক্রবার একটি অ্যাডভাইসরিতে দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে, মৃদু্ উপসর্গযুক্তদের হাসপাতালে ভরতি করার দরকার নেই। হোম আইসোলেশনে থাকতে কারও অসুবিধা হলে তাকে সেফ হোমে রাখতে হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা ডা. দেবাশিস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর উপসর্গ কমে গিয়ে স্থিতিশীল হলে তাঁকেও সেফ হোমে স্থানান্তরিত করতে হবে। আবার সেফ হোমে থাকা কোনও রোগীর উপসর্গ প্রকট হলে, শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাঁকে দ্রুত নিকটবর্তী কোভিড হাসপাতালে আনতে হবে। পরামর্শ ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কি না যাচাই করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবে।
